আধুনিক পৃথিবী যেভাবে ভূত-প্রেতের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে চলে, সেখানে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এখন অব্দি ছড়িয়ে থাকা শত শত ভুতুড়ে জায়গা কৌতুহল জাগায় বৈকি। তবে বাস্তবে হয়তো কখনো কখনো জনশ্রুতিতেই গড়ে ওঠে এমন অনেক ভূতুড়ে বাড়ি বা জায়গা। কোনোটায় বা থাকে অনুদঘাটিত কোনো রহস্য, যা এই জায়গাগুলোকে ঘিরে তৈরি করে ভূতুড়ে আবহ। আর এর কোনোটাই যখন শক্ত দলিল-প্রমাণ দিয়ে বোঝা যায় না, তখনই জমে ওঠে আসল মজা।
এরকমই কিছু জায়গা কিন্তু বাংলাদেশের নানা প্রান্তেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যা নিয়ে গা ছমছমে গালগল্প চলে এই স্যাটেলাইট আর ইন্টারনেটের সময়েও। দেশের তেমনই কিছু কথিত ভূতুড়ে জায়গা নিয়ে থাকছে এই প্রতিবেদন-
ফয়সলেক (চট্টগ্রাম)
এখানে একটি কালো ছায়া দেখতে পাওয়া যায় বলে লোকমুখে শোনা যায়। আবার অনেকে সাদা শাড়িতে খোলা চুলে একটি নারীকেও প্রায়ই ঘোরাফেরা করতে দেখতে পান বলে জানিয়েছেন।
চলনবিল (সিরাজগঞ্জ)
এখানকার একটি চরে জ্বীনের বসবাস বলে স্থানীয়রা বিশ্বাস করে। এখানকার তিনটি মন্দিরেও নানা অলৌকিক ঘটনা ঘটে বলে লোকমুখে শোনা যায়।
পার্কি বিচ (চট্টগ্রাম)
এখানে সমুদ্রতীরে মানুষের চিৎকার শুনতে পাওয়া যায় বলে অনেকেই বলেছেন। স্থানীয়রা বলেন, ওটা সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া নাবিকদের কান্নার ধ্বনি।
ধানমন্ডি ২৭ (ঢাকা)
এখানে একটি অ্যাপার্টমেন্টে ভূতের বাস বলে বিশ্বাস করে এলাকাবাসী। বলা হয় ১০ বছর আগে এই অ্যাপার্টমেন্টে এক পরিবার থাকতো। সেসময় কিছু অলৌকিক ঘটনা ঘটে ওই পরিবারের সদস্যদের সাথে, এবং তারা এর প্রতিকারে কিছুই করতে না পেরে বাসাটি ছেড়ে চলে যায়। এরপর বেশ কয়েক বছর খালি পড়ে থাকে এই বাড়িটি। গল্প গজিয়ে ওঠে তারই সাথে।
লালবাগ কেল্লা (ঢাকা)
কথিত একটি বিকৃত চেহারার (মাথা নিচে, পা উপরে, বড় নখ, জটা চুল) এক ঘোড়সওয়ারকে এই কেল্লার ভেতরে ঘোড়া চালাতে দেখা যায় বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
মন্দিরওয়ালা বাড়ি (বকশি বাজার)
স্থানীয় অনেকের কথায় এখানে নির্জনে সাদা শাড়ি পরিহিত এক নারী একা একা সারা বাড়ি হেঁটে বেড়ায়।
এগুলো ছাড়াও আপনার বাড়ির আশপাশে, গ্রামের বাড়ি, দাদু বা নানু বাড়িতে গেলেই দেখবেন খোঁজ পেয়ে গেছেন কোনো না কোনো ভূতুড়ে জায়গার, সঙ্গে রোমহর্ষক গল্পও! বিশ্বাস করবেন, নাকি পেছনের কারণ খুঁজতে নেমে যাবেন- সে আপনার ব্যাপার!






